ছোট ভিডিও, বড় নেশা
YouTube Shorts — নাম শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে অসংখ্য ছোট, আকর্ষণীয় ভিডিও। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের এই কনটেন্ট আমাদের বিনোদন দেয়, কিন্তু একবার দেখা শুরু করলে থামা যায় না! একটার পর একটা ভিডিও — আর সেই সঙ্গে হারিয়ে যায় আমাদের মূল্যবান সময়। এই অভ্যাসকেই বলা হয় doomscrolling, যা এখন আধুনিক প্রজন্মের এক বড় সমস্যা।
YouTube-এর সমাধান: নতুন “Shorts Timer”
এই অবিরাম স্ক্রলিং অভ্যাস ভাঙতে YouTube আনছে এক অভিনব টুল — “Shorts Timer”।
এই ফিচার ব্যবহার করে আপনি নিজের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে পারবেন — যেমন 15 মিনিট বা 30 মিনিট। টাইম শেষ হলে YouTube নিজেই জানিয়ে দেবে যে এখন একটু বিরতি নেওয়ার সময় হয়েছে।
এটি এক ধরনের “digital wellbeing” টুল, যা আপনার ব্যবহার অভ্যাসকে আরও সচেতন ও স্বাস্থ্যকর করবে।
মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ও শর্ট ভিডিও স্ক্রল করা মানসিক ক্লান্তি, মনোযোগের ঘাটতি এবং ঘুমের সমস্যা তৈরি করে। এই পরিস্থিতিতে YouTube-এর এই পদক্ষেপ অনেকের জন্য কার্যকর হতে পারে।
YouTube নিজেই বলছে — “আমরা চাই আমাদের ব্যবহারকারীরা কনটেন্ট উপভোগ করুক, কিন্তু নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণও রাখুক।”
কীভাবে Shorts Timer ব্যবহার করবেন?
নতুন এই ফিচারটি ব্যবহার করতে খুব সহজ ধাপ অনুসরণ করতে হবে —
- YouTube অ্যাপ খুলুন।
- Shorts সেকশনে যান।
- উপরের Settings আইকনে ট্যাপ করুন।
- সেখানে ‘Shorts Timer’ অপশন নির্বাচন করে আপনার পছন্দমতো সময় বেছে নিন।
একবার সেট হয়ে গেলে YouTube নিজেই আপনাকে সময় শেষের পর রিমাইন্ড করবে।
ধীরে ধীরে রোল আউট হচ্ছে ফিচারটি
এখনও পর্যন্ত “Shorts Timer” ফিচারটি সব দেশে চালু হয়নি। ধীরে ধীরে এটি বিভিন্ন ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাবে। যদি আপনার অ্যাপে এখনো না আসে, কয়েকদিন অপেক্ষা করুন — শীঘ্রই এটি সবার জন্য উন্মুক্ত হবে।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
ডিজিটাল যুগে আমাদের জীবনের অনেকটাই নির্ভর করছে স্ক্রিনের উপর। তাই YouTube-এর এই পদক্ষেপ কেবল নতুন ফিচার নয়, বরং একটি সচেতনতার বার্তা।
এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় — প্রযুক্তি আমাদের জন্য, আমরা প্রযুক্তির জন্য নয়।
শেষ কথা:
YouTube-এর “Shorts Timer” শুধুমাত্র একটি টুল নয়, এটি একধরনের digital pause button — যা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে, “সময় হয়েছে একটু নিজের জন্য সময় রাখার।”