২০২৫ সালের ৮ জুলাই এলন মাস্কের মালিকানাধীন Starlink ভারতে তাদের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর জন্য IN-SPACe (Indian National Space Promotion and Authorization Center) থেকে চূড়ান্ত লাইসেন্স অনুমোদন পেয়েছে।
এটি ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরের পথে একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী অনুমোদন পেল স্টারলিংক?
- স্টারলিংক ভারতে আগামী ৫ বছরের জন্য (২০২৫-২০৩০) স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন পরিষেবা দেওয়ার লাইসেন্স পেয়েছে।
- তারা ব্যবহার করতে পারবে Ka-band এবং Ku-band তরঙ্গ, যা উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ দিতে সক্ষম।
- এটি ভারতে তৃতীয় স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কোম্পানি, OneWeb এবং Jio‑SES এর পর।
কী কী করতে হবে এখন স্টারলিংককে?
স্টারলিংক এখনো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পেরোনোর অপেক্ষায় —১. স্পেকট্রাম বরাদ্দ:
তাদের ভারতের ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনস (DoT) এর থেকে তরঙ্গ (spectrum) কিনতে হবে।২. গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ:
ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কমপক্ষে তিনটি গ্রাউন্ড গেটওয়ে স্টেশন তৈরি করতে হবে। এগুলোর মাধ্যমে স্যাটেলাইটের সাথে সংযোগ সম্ভব হবে।৩. নিরাপত্তা যাচাই ও ট্রায়াল:
পরিষেবা চালুর আগে স্টারলিংককে নিরাপত্তা যাচাই পরীক্ষা ও কিছু ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করতে হবে।কবে থেকে চালু হবে পরিষেবা?
সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০২৫ সালের শেষ দিক বা ২০২৬ সালের শুরুতে ভারতে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে পারে।কত খরচ হবে?
| পরিষেবার ধরন | আনুমানিক খরচ |
|---|---|
| স্টারলিংক কিট (ডিশ ও রাউটার) | ₹৩৩,০০০ |
| মাসিক সাবস্ক্রিপশন | ₹৩,০০০ – ₹৪,২০০ |
| প্রোমোশনাল প্ল্যান (নির্বাচিত অঞ্চলে) | ₹৮৪০/মাস (সম্ভাব্য) |
সুবিধা কী কী?
- রিমোট ও পাহাড়ি এলাকায়ও ইন্টারনেট মিলবে।
- মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকা জায়গাতেও অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন ব্রডব্যান্ড।
- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং ই-গভর্নেন্সের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা।
স্টারলিংক কীভাবে কাজ করে?
স্টারলিংক মূলত পৃথিবীর চারপাশে থাকা Low Earth Orbit (LEO) স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়। এতে latency খুব কম হয় এবং rural এলাকায়ও seamless পরিষেবা দেওয়া যায়।পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
- DOT থেকে স্পেকট্রাম নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা
- গেটওয়ে স্টেশন নির্মাণ
- সিকিউরিটি ট্রায়াল সম্পন্ন
- পরিষেবার জন্য সাবস্ক্রিপশন এবং কভারেজ প্ল্যান ঘোষণা