নেপালের টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (NTA) জানিয়েছে, Telegram-এ:
- ভুয়া তথ্য (Fake News) ছড়ানো
- ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উস্কানিমূলক কনটেন্ট
- অশ্লীল কনটেন্ট বা পর্নোগ্রাফি
- মাদক বিক্রির মতো বেআইনি কার্যক্রম
এই সব কিছু বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়ছিল।
সরকারি বক্তব্য:
টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি অফ নেপাল (NTA) জানায়:
“Telegram ব্যবহারে সাইবার অপরাধ বাড়ছে এবং এটি সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। আমরা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছি।”
কারা কারা ক্ষতিগ্রস্ত?
- সাধারণ ব্যবহারকারী যারা Telegram ব্যবহার করতেন পার্সোনাল বা প্রফেশনাল কাজে
- উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ীরা যারা Telegram-এ গ্রুপ বা চ্যানেলের মাধ্যমে কাস্টমার হ্যান্ডল করতেন
- শিক্ষার্থীরা যারা বিভিন্ন শিক্ষামূলক চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেছিল
বিকল্প অ্যাপ:
নেপালের অনেকেই এখন WhatsApp, Signal, Viber বা Discord-এর দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু Telegram-এর মতো ফিচার রিচ প্ল্যাটফর্ম এত সহজে পাওয়া কঠিন।
VPN দিয়ে Telegram চালানো যাবে?
হ্যাঁ, কিন্তু এটি আইন বিরুদ্ধ। সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ব্যান থাকা অবস্থায় VPN ব্যবহার করেও Telegram চালানো যাবে না।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
- ডিজিটাল রাইটস অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ।
- অনেকেই বলছেন, এই সিদ্ধান্ত কিছুটা অতিরঞ্জিত এবং স্বচ্ছতা ছাড়া নেওয়া হয়েছে।
- নেপালের তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে।
বিশ্লেষণ:
নেপালের মতো দেশে যেখানে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস দ্রুত বাড়ছে, সেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সাইবার আইন গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনও জনপ্রিয় অ্যাপ সম্পূর্ণভাবে ব্যান করা বরং সংলাপ, ফিল্টারিং ও কনটেন্ট মডারেশন বাড়ানো আরও কার্যকর হতে পারত.
Stay Connected with Us!
আমরা প্রতিদিন নতুন খবর, তথ্য এবং আপডেট শেয়ার করি। নিচের Telegram এবং WhatsApp চ্যানেলগুলোতে ক্লিক করে আপনি সহজেই আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন।