আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় এক নতুন অধ্যায়
ভারতের ISRO এবং মার্কিন মহাকাশ সংস্থা NASA-র যৌথ উদ্যোগে তৈরি NISAR (NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar) স্যাটেলাইট 2025 সালের জুলাই মাসে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে GSLV-F16 রকেটের মাধ্যমে। এই উৎক্ষেপণ ভারতের মহাকাশ ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও বিশ্বজনীন জলবায়ু পর্যবেক্ষণে বড় অবদান রাখবে।
NISAR Satellite কী?
NISAR একটি অত্যাধুনিক Earth Observation Satellite, যা L-band ও S-band Synthetic Aperture Radar ব্যবহার করে পৃথিবীর ভূত্বক, বনভূমি, হিমবাহ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের সূক্ষ্ম পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম। এটি বিশ্বের প্রথম dual-frequency radar imaging satellite, যা পৃথিবীর পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি নিয়মিত নজরে রাখবে।
উৎক্ষেপণের বিশদ বিবরণ
উৎক্ষেপণের তারিখ: ২০২৫ সালের জুলাই
স্থান: Satish Dhawan Space Centre, Sriharikota
রকেট: GSLV-F16 (Geosynchronous Satellite Launch Vehicle)
মিশনের উদ্দেশ্য: Global environmental monitoring, disaster management, and resource mapping
এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে ভারতীয় প্রযুক্তি এবং রকেট উৎক্ষেপণ ক্ষমতা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে NASA-এর মত সংস্থার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।
ISRO ও NASA-র মধ্যে অংশীদারিত্ব
এই মিশন শুধু একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, বরং দুই মহাশক্তিধর মহাকাশ সংস্থার মধ্যে একটি শক্তিশালী সহযোগিতার প্রতীক। NISAR প্রজেক্টে NASA মূলত L-band radar সরবরাহ করেছে এবং ISRO তৈরি করেছে S-band radar ও পুরো স্যাটেলাইট প্ল্যাটফর্ম। এই যৌথ অংশীদারিত্ব বিশ্বে climate change research, agriculture monitoring ও natural disaster forecasting-এর ক্ষেত্রে game changer হতে চলেছে।
ভবিষ্যৎ প্রভাব
NISAR স্যাটেলাইটের ডেটা কৃষি উৎপাদন, বনভূমি সংরক্ষণ, হিমবাহ গলনের পূর্বাভাস, এবং ভূমিকম্প বা ভূমিধসের ঝুঁকি নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এই ডেটা ব্যবহার করে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের গতিপ্রকৃতি বুঝতে সক্ষম হবেন।
উপসংহার
NISAR মিশন ISRO ও NASA-র একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ ও পরিবেশগত গবেষণাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এই সাফল্য শুধু ভারত নয়, বরং গোটা মানবজাতির জন্য একটি বড় প্রাপ্তি।