বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রেল নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়ান রেলওয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৩,৫০০টি যাত্রীবাহী ট্রেন চালায়। অথচ এই বিশাল দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে—লোকো পাইলটরা—তাঁরা দিনের পর দিন ইঞ্জিনে বসে কাজ করেও টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ পান না।
কীভাবে সামলান তাঁরা?
বর্তমানে ইঞ্জিনে কোনো ধরণের শৌচাগার নেই। ফলে লোকো পাইলটরা যদি যাত্রার সময় টয়লেটের প্রয়োজনে পড়েন, তাহলে তাঁদের:- কন্ট্রোল রুমে জানাতে হয়,
- অনুরোধ করতে হয় কাছাকাছি স্টেশনে ট্রেন থামানোর,
- অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় পরবর্তী স্টপ পর্যন্ত,
- স্টেশনে থাকা টয়লেটের উপর নির্ভর করতে হয়, যা অনেক সময় নোংরা বা অপ্রতুল।
সমস্যার গভীরতা
- স্বাস্থ্যের ঝুঁকি – প্রস্রাব চেপে রাখা ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন, কিডনি সমস্যা প্রভৃতির কারণ হতে পারে।
- নিরাপত্তার ঝুঁকি – অস্বস্তি বা শারীরিক চাপের কারণে মনোসংযোগে প্রভাব পড়ে।
- নির্ধারিত সময়ের বিচ্যুতি – অপ্রত্যাশিত স্টপ রেলওয়ে সময়সূচিতে সমস্যা সৃষ্টি করে।
- মানবাধিকারের লঙ্ঘন – কর্মক্ষেত্রে মৌলিক শৌচাগারের অনুপস্থিতি অসংবেদনশীলতা প্রদর্শন করে।
রেলওয়ে কী করেছে?
২০১৮ সালে রেলওয়ে কিছু ইঞ্জিনে পরীক্ষামূলকভাবে বায়ো-টয়লেট বসানোর উদ্যোগ নেয়। যেমন:- দিল্লি-অম্বালা রুটে ট্রায়াল হয়েছিল,
- কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়:
- ইঞ্জিনে জায়গার অভাব
- জল সরবরাহের অসুবিধা
- রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি
লোকো পাইলটদের অভিজ্ঞতা
একজন সিনিয়র লোকো পাইলট বলেন:“৬-৮ ঘণ্টা ট্রেন চালিয়ে যেতে হয়। কিন্তু কোথাও টয়লেট নেই। এটা অকল্পনীয় ও অমানবিক।”
সম্ভাব্য সমাধান কী হতে পারে?
- নতুন ইঞ্জিন ডিজাইনে শৌচাগার অন্তর্ভুক্ত করা
- দীর্ঘ রুটে মোবাইল টয়লেট ইউনিট সংযুক্ত করা
- নির্দিষ্ট বিরতি সময় নির্ধারণ
- AI বা সেন্সরের মাধ্যমে লোকো পাইলটদের ক্লান্তি পর্যবেক্ষণ
- প্রতি নির্দিষ্ট দূরত্বে মানসম্মত টয়লেট নিশ্চিত করা