স্মার্ট মিটার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার! এখনই জানুন বিস্তারিত
পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্মার্ট মিটার ইস্যুতে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সাধারণ গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
-
ঘরোয়া (Residential) গ্রাহকদের জন্য স্মার্ট মিটার স্থাপন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
-
যারা ইতিমধ্যে স্মার্ট মিটার পেয়েছেন, তাদের জন্য প্রতি ত্রৈমাসিকে (3 মাসে একবার) বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হবে ঠিক আগের মতো।
-
গ্রাহকরা চাইলে পুনরায় পুরনো পোস্টপেইড মিটারে ফিরে যেতে পারবেন।
-
সরকারি ও বাণিজ্যিক খাতে স্মার্ট মিটার স্থাপন যথারীতি চলবে।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
সম্প্রতি বিভিন্ন জেলার (যেমন হাওড়া, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা) গ্রাহকরা অভিযোগ জানান—
স্মার্ট মিটার বসানোর পর তাদের বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ বা তিনগুণ বেড়ে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে জনবিরোধী ক্ষোভ বাড়তে থাকায় সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
কী বললেন মন্ত্রী?
বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরূপ বিশ্বাস জানান,
“মানুষ চাইলে স্মার্ট মিটার থেকে পুরনো মিটারে ফিরে যেতে পারবেন। কেউ বাধ্য নন।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে বলেও সূত্র জানায়।
আরূপ বিশ্বাস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা
-
পাওয়ার মন্ত্রী আরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপনে, স্মার্ট মিটার কার্যক্রম হাল্ট করার জন্য business-standard.com+1telegraphindia.com+1।
-
তিনি নিশ্চিত করেছেন যে ইতিমধ্যেই ইনস্টলড যন্ত্রগুলো বিল তৈরি করবে পূর্বের মতো প্রতি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ।
আপনার করণীয়
| প্রশ্ন | উত্তর |
|---|---|
| আমার বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসেছে, কী হবে? | প্রতি ৩ মাসে একবার বিল পাবেন। চাইলে পুরনো মিটারে ফেরার আবেদন করতে পারেন। |
| নতুন স্মার্ট মিটার বসানো হবে? | আপাতত নয় (Residential)। |
| বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কী করবে? | সেখানে স্মার্ট মিটার বসানো চলবে। |
পরবর্তী সম্ভাব্য পদক্ষেপ
| বিষয়ে | কী করতে হবে |
|---|---|
| উদ্ভূত সমস্যা তদন্ত | বিল বেড়ে যাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা হবে—প্রযুক্তিগত, ট্যারিফ বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কিনা। |
| জনগণের সাথে যোগাযোগ | তথ্যপূর্ণ ও স্বচ্ছ জনসংযোগ, যাতে সংশয় দূর হয়। |
| ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা | ঘরবন্দী স্মার্ট মিটার পুনরায় চালু কিংবা বাদ দিলে তার নীতিমালা তৈরি। |
উপসংহার
এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। তবে ভবিষ্যতে স্থায়ী সমাধানের জন্য স্বচ্ছ এবং বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।